আসলে পুরুষ মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সবচেয়ে রহস্যময় প্রানী। আবার দূর্ভাগাও বটে…
- গাধাকে সৃষ্টি করার পর তাকে বলা হলো, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করতে হবে। সারাজীবন তাকে পিঠে ভারী বোঝা বইতে হবে। খেতে পাবে শুধু ঘাস। আর তার মাথায় কোন বুদ্ধি থাকবেনা। তার আয়ু হবে ৫০ বছর। গাধা করজোড়ে সৃষ্টিকর্তাকে বললো। আমি এতো বছর বাঁচতে চাইনা। আমাকে ২০ বছর আয়ু দেওয়া হোক। সৃষ্টিকর্তা সেটাই মনজুর করলেন।
- কুকুরকে যখন সৃষ্টি করা হলো তখন তাকে বলা হলো, সে হবে মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু। কিন্তু সে খাবে মানুষের উচ্ছিষ্ট এবং তার আয়ু হবে ৩০ বছর। কুকুর সৃষ্টিকর্তাকে বললো, আমি এত বছর বাচতে চাইনা আমাকে ১৫ বছর আয়ু দেওয়া হোক। সেটাই মনজুর করা হলো।
- এরপর বানর! বানরকে বলা হলো তুমি শুধু গাছের এ ঢাল থেকে ও ঢাল ঝুল খাবে এবং নানান রকম ফন্দি ফিকির করে মানুষকে আনন্দ দিবে। তোমার আয়ু হবে ২০ বছর। বানর বললো আমি ২০ বছর বাচতে চাইনা আমাকে ১০ বছর দেওয়া হোক। সেটাই মনজুর করা হলো।
- এবার এলো পুরুষ মানুষের পালা। পুরুষকে বলা হলো যে, তুমি হলে প্রানীকূলের মধ্যে সবচেয়ে বিচক্ষন ও বুদ্ধিমান। সেজন্য তোমাকে প্রানীদের শিরোমনি করা হলো। এবং তোমার আয়ু হবে ২০ বছর। তখন পুরুষ মানুষ বললো, করজোরে বললো সৃষ্টিকর্তাকে। যে ২০ বছর আয়ু অত্যন্ত কম।
হে প্রভু আমাকে ওই গাধার সে যে ৩০ বছর আয়ু চায়নি, সেটা আমাকে দেওয়া হোক। ঐ যে কুকুর ১৫ বছর ফিরিয়ে দিয়েছিলো, সেটাও আমাকে দেওয়া হোক। আর যে বানর ১০ বছর নেয়নি, সেটাও আমাকে দেওয়া হোক। ২০ বছর অত্যন্ত কম। আমি দীর্ঘদিন বাঁচতে চাই। সৃষ্টিকর্তা সেটাও মনজুর করলেন।
– সেই থেকে ছেলেরা পুরুষ মানুষ হিসেবে বাঁচে ২০ বছর।
– তারপরে ৩০ বছর সংসারের বোঝা পিঠে করে বয়ে বেড়ায় গাধার মতো।
– তারপরে ১৫ বছর সে তার ছেলে মেয়েরা যা দেয়, সেইরকম ঠিক কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট খেয়ে বাঁচে।
– আর তারপরে বৃদ্ধ বয়সে ঠিক বানরের মতো, যেমন গাছের এ ডাল থেকে ও ডালে ঝুল খায় বানর। তেমনি এই ছেলের বাড়ি থেকে ওই ছেলের বাড়ি। আর নানান রকম ফন্দি ফিকির করে তার নাতি নাতনীদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুনঃ চায়নাতে পড়াশোনা নিয়ে বিস্তারিত ও তথ্যবহুল আলোচনা
কপিরাইটঃ অনলাইন
Leave a Reply