বন্যায় সচেতনতা আপনার জীবন রক্ষা করবে

By Adivai_Admin September 6, 2024 No Comments 3 Min Read

বন্যায় সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরী কারন আগাম সতর্কতা বন্যার ক্ষতি থেকে অনেকাংশে বাচাতে পারে। কারন একমাত্র বন্যায় সচেতনতা ই গড়ে তুলতে পারে বন্যার প্রতিরোধ।

বন্যায় সচেতনতা বন্যার আগে করনীয়ঃ

  • বন্যার আগে সতর্কতা এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্যা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বিষয় উল্লেখ করা হলো:
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়মিত অনুসরণ করুন।
  • বন্যার সতর্কবার্তা বা নোটিশ পেলে দ্রুত প্রস্তুতি নিন।
  • জরুরি কিট তৈরি করুন যেখানে থাকবে: শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানির বোতল, ওষুধ, ব্যান্ডেজ, প্রয়োজনীয় নথি, টর্চলাইট এবং ব্যাটারি।
  • চার্জ করা মোবাইল ফোন এবং পাওয়ার ব্যাঙ্ক প্রস্তুত রাখুন।
  • নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন। বাসস্থানের আশেপাশে উচ্চ স্থান বা সুরক্ষিত আশ্রয়ের ব্যবস্থা থাকলে সেখানেই চলে যান।
  • নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে নদী বা নিম্নাঞ্চল।
  • বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানির সংযোগ বন্ধ করে রাখুন যাতে বন্যার সময় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
  • বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র উঁচু স্থানে সরিয়ে রাখুন এবং দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন।
  • স্থানীয় প্রশাসন থেকে আসা যেকোনো ধরনের নির্দেশনা বা সতর্কবার্তা অনুসরণ করুন।
  • যদি প্রয়োজন হয়, ব্যক্তিগত যানবাহনের জন্য বিকল্প রাস্তাগুলোর বিষয়ে ধারণা রাখুন এবং গাড়ির জ্বালানি পূর্ণ রাখুন।
  • এই প্রস্তুতিগুলোহ বন্যার আগে নেওয়া হলে বিপদ অনেকটা এড়ানো সম্ভব।
Photo: Internet

বন্যায় সচেতনতা বন্যার সময় করনীয়ঃ

  • মৌলিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করুন: জরুরী কিটে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, শুকনো খাবার, পানি, টর্চলাইট, ব্যাটারি, এবং একটি ব্যাকআপ চার্জার রাখুন।
  • নগদ টাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি: নগদ টাকা, আইডি কার্ড, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি নিরাপদ স্থানে রাখুন।
  • মুলতুবি থাকা প্রস্তুতি: পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল নির্ধারণ করুন এবং স্থানীয় সেবা ও আশ্রয়কেন্দ্রের যোগাযোগের নম্বর জেনে রাখুন।
  • সরাসরি খবরে নজর রাখুন: টিভি, রেডিও, অথবা অন্যান্য মিডিয়া চ্যানেল ব্যবহার করে বন্যার পরিস্থিতি ও স্থানীয় সতর্কতা সম্পর্কে আপডেট নিন।
  • স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলুন: স্থানীয় প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা এবং সতর্কতা অনুসরণ করুন।
  • নিচু এলাকায় না যান: বন্যার সময় নিচু এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। নিরাপদ উচ্চস্থানে চলে যান।
  • পানি থেকে দূরে থাকুন: প্রবাহিত পানির সাথে যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি আংশিকভাবে বিদ্যুতের সংস্পর্শে আসতে পারে বা দ্রুত প্রবাহিত হতে পারে।
  • শিশু ও বৃদ্ধদের নজর রাখুন: শিশু ও বৃদ্ধদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করুন।
  • পারিবারিক যোগাযোগ ব্যবস্থা: পারিবারিক সদস্যদের সাথে যোগাযোগের একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন যাতে জরুরী পরিস্থিতিতে সবাই একে অপরের অবস্থান জানে।
  • আঘাতের চিকিৎসা: ক্ষতস্থান পরিষ্কার করুন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করুন। গুরুতর আঘাতের জন্য স্থানীয় চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
  • পানি থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধ: ময়লা পানি থেকে দূরে থাকুন এবং সুস্থতার জন্য সঠিক খাবার ও পানির সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
  • অবশিষ্ট পানির সঠিক নিষ্কাশন: বাড়ির আশপাশের পানি দ্রুত নিষ্কাশন করার চেষ্টা করুন।
  • গোসল ও খাবারের পানি: নিশ্চিত করুন যে খাবার এবং পানির উৎস নিরাপদ এবং পরিচ্ছন্ন।
  • ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য করুন: বন্যার পরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা করুন।
  • অফিসিয়াল রিপোর্ট এবং পর্যালোচনা: বন্যার পর সরকারী রিপোর্ট এবং পর্যালোচনা অনুসরণ করুন এবং যেকোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
  • এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে বন্যার সময় আপনার নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
  • বন্যার পরে সঠিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বন্যার পরেও স্বাস্থ্যঝুঁকি ও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। বন্যার পরে কী করা উচিত, তা নিচে দেওয়া হলো:
Photo: Internet

বন্যায় সচেতনতা বন্যার পরে করনীয়ঃ

  • বাড়ি বা আশ্রয়স্থল ত্যাগ করার আগে প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিশ্চিত করুন যে ওই স্থানটি নিরাপদ।
  • বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করার আগে পেশাদারদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
  • পানির উৎস ও খাবারের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। বন্যার পানি সাধারণত দূষিত হয়, তাই বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করুন।
  • বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিকে ফোটানো বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করুন।
  • দূষিত পানি ও মাটির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে গ্লাভস এবং বুট ব্যবহার করুন।
  • মশা থেকে বাঁচার জন্য মশারি বা মশারোধক স্প্রে ব্যবহার করুন, কারণ বন্যার পরে ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হতে পারে।
  • বাড়ি পরিষ্কার করার সময় পেশাদার সাহায্য নিন, কারণ বন্যার পর ঘরে কাদা এবং ময়লা জমতে পারে যা সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
  • গৃহস্থালি জিনিসপত্র ধুয়ে ফেলা এবং শুকানো নিশ্চিত করুন।
  • সাহায্য সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • বীমা দাবির জন্য প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত করুন এবং ক্ষয়ক্ষতির ছবি তুলে রাখুন। ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি করে সংশ্লিষ্ট সংস্থায় জানিয়ে দিন।
  • বন্যার পরে মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে, তাই পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের মানসিক সহায়তা দিন।
  • সামাজিক সংস্থাগুলোর সাহায্য নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করুন।
  • প্রশাসন ও স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখুন যাতে কোনো সাহায্য প্রয়োজন হলে দ্রুত তা পেতে পারেন।
  • বন্যার পর সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব, এবং পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া দ্রুততর হবে।

আরও পড়ুনঃ বর্ষাকালে ভ্রমণ: ৫টি মনোরম গন্তব্য

ঘর সাজাতেঃ Canvaswala || ব্যবসা বাড়াতেঃ Fixcave

Leave a Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *