স্মার্টফোন আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু দীর্ঘ ব্যবহার বা অতিরিক্ত অ্যাপ চালানোর ফলে ব্যাটারির স্থায়ীত্ব কমে যেতে পারে। আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হলে তা নিয়মিত চার্জ দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। তবে কয়েকটি সহজ কৌশল মেনে চললে আপনি স্মার্টফোন এর ব্যাটারি লাইফ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারবেন। নিচে এমন কিছু টিপস দেওয়া হলো, যেগুলো আপনার ফোনের ব্যাটারির স্থায়ীত্ব বাড়াতে সাহায্য করবে।
১. স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন
স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা স্মার্টফোনের ব্যাটারির উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত উজ্জ্বল স্ক্রিন বেশি শক্তি খরচ করে, যা দ্রুত ব্যাটারি শেষ হওয়ার একটি প্রধান কারণ। তাই আপনার ফোনের ব্রাইটনেস স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করুন বা কমিয়ে রাখুন। অটো-ব্রাইটনেস ফিচারটি চালু করলে ফোন নিজেই আলোর প্রয়োজন অনুযায়ী স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে বা বাড়িয়ে নিবে।
২. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখুন
অনেক সময় আমরা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে তা বন্ধ না করেই ফোন রেখে দেই। এর ফলে অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং ব্যাটারির উপর চাপ সৃষ্টি করে। ব্যাটারি সাশ্রয়ের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো বন্ধ রাখুন। ফোনের সেটিংস থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ব্যবস্থাপনা করে রাখতে পারেন।
৩. অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করুন
প্রত্যেকটি নোটিফিকেশন ডিসপ্লেতে ভেসে ওঠার সাথে সাথে আপনার ফোনের ব্যাটারির উপর প্রভাব ফেলে। প্রয়োজনহীন নোটিফিকেশনগুলি বন্ধ করে দিলে আপনার ফোনের ব্যাটারির স্থায়ীত্ব বেড়ে যাবে। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অ্যাপের নোটিফিকেশন চালু রাখুন।
৪. অ্যাপ আপডেট রেগুলার করুন
প্রতিটি অ্যাপের আপডেট ভার্সনে সাধারণত উন্নত ব্যাটারি ব্যবস্থাপনা থাকে। তাই আপনার অ্যাপগুলো নিয়মিত আপডেট রাখুন, যাতে নতুন ফিচারগুলো আপনার ফোনের ব্যাটারি খরচ কমাতে পারে।
৫. ফাস্ট চার্জার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
ফাস্ট চার্জার অনেক সময় দ্রুত ব্যাটারি পূর্ণ করতে সাহায্য করলেও, এটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যাটারির স্থায়ীত্ব কমিয়ে দিতে পারে। তাই নিয়মিত চার্জিংয়ের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্জার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ফাস্ট চার্জিং ফিচারটি প্রয়োজনের সময়ই ব্যবহার করুন।
৬. ওয়াইফাই, ব্লুটুথ এবং লোকেশন বন্ধ রাখুন
ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, এবং জিপিএস লোকেশন সার্ভিস চালু রাখলে ব্যাটারির উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। যখন এই ফিচারগুলো দরকার নেই, তখন এগুলো বন্ধ রাখুন। বিশেষ করে যখন আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন না বা ব্লুটুথ সংযোগের প্রয়োজন নেই, তখন এই ফিচারগুলো বন্ধ রাখলে ব্যাটারির স্থায়ীত্ব বাড়বে।
৭. পাওয়ার সেভার মোড ব্যবহার করুন
অধিকাংশ স্মার্টফোনেই এখন পাওয়ার সেভার মোড ফিচার রয়েছে। যখন আপনার ফোনের ব্যাটারি কমে যায়, তখন এই মোডটি চালু করে রাখুন। এটি ফোনের প্রসেসর স্পিড কমিয়ে দেয়, ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখে এবং অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ফিচার সীমিত করে ব্যাটারির স্থায়ীত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।
উপসংহার:
স্মার্টফোন এর ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর জন্য কয়েকটি সাধারণ টিপস মেনে চলা যথেষ্ট। স্ক্রিন ব্রাইটনেস নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ব্যবস্থাপনা, সব কিছুই আপনার ফোনের ব্যাটারির স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি করতে পারে। যদি আপনি নিয়মিত এই কৌশলগুলো ব্যবহার করেন, তবে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকবে এবং চার্জ দেওয়ার প্রয়োজনও কমবে।
আরও পড়ুনঃ মিডজার্নি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে ডিজাইনিং টুলের নতুন বিপ্লব
ঘর সাজাতেঃ Canvaswala || ব্যবসা বাড়াতেঃ Fixcave
Leave a Reply