চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নিষিদ্ধ নগরী, 1420 সালে Ming রাজবংশের সম্রাট Yongle কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। প্রায় 500 বছর ধরে, এটি 24 জন সম্রাটের বাসস্থান এবং চীনা সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। 1912 সালে Qing রাজবংশের পতনের পর, এটি একটি জাদুঘরে পরিণত হয়।
স্থাপত্য:
নিষিদ্ধ নগরী 720,000 বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে 980 টিরও বেশি ভবন নিয়ে গঠিত। ঐতিহ্যবাহী চীনা স্থাপত্যের এক অসাধারণ নিদর্শন, এটি তার সুনির্মিত প্রাসাদ, মনোরম বাগান, এবং রহস্যময় আবহের জন্য বিখ্যাত।
আকর্ষণ:
- Gate of Supreme Harmony: প্রাসাদের প্রধান প্রবেশদ্বার।
- Hall of Preserving Harmony: সম্রাটের সিংহাসন।
- Hall of Heavenly Purity: সম্রাটের বাসস্থান।
- Palace of Earthly Tranquility: রানীর বাসস্থান।
- Imperial Garden: মনোরম সৌন্দর্যের এক অপূর্ব নিদর্শন।
গুরুত্ব:
নিষিদ্ধ নগরী শুধু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা নয়, এটি চীনা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক প্রতীক। এটি UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এবং বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি।
রহস্য:
নগরী তার রহস্যময় আবহের জন্যও পরিচিত। অনেকে বিশ্বাস করেন এখানে ভূত-প্রেতের বাস।
আকর্ষণীয় তথ্য:
- “নিষিদ্ধ” কারণ এখানে সম্রাটের অনুমতি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারতো না।
- বিশ্বের বৃহত্তম প্রাসাদ কমপ্লেক্স।
- 1 মিলিয়নেরও বেশি শিল্পকর্মের সংগ্রহশালা।
- 2008 সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
নিষিদ্ধ নগরী ঐতিহাসিক, স্থাপত্য, এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চীনের ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক গৌরবের এক জীবন্ত প্রতীক।
আরও পড়ুনঃ চীনের রাজবংশ: ইতিহাসের এক অমলিন অধ্যায়
ঘর সাজাতেঃ Canvaswala || ব্যবসা বাড়াতেঃ Fixcave
Leave a Reply