চাকরীর ইন্টারভিউ প্রিপারেশন- যে কথা বললে চাকরী হবেনা।
আপনার কি কখনও এমন হয়েছে যে, চাকরীর ইন্টারভিউ প্রিপারেশন নিয়ে ইন্টারভিউ দিয়েছেন এবং ভেবেছেন খুব ভাল করেছেন—কিন্তু সময় পার হয়ে গেলেও নিয়োগকর্তার কাছ থেকে উত্তর পাননি?
এমনটা হওয়ার কারণ হতে পারে, আপনি এমন কিছু বলেছেন যা তাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তাই, চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলতে হবে এবং কী বলা উচিত নয়—দুটিই জানা খুব জরুরি।
এমন কিছু বাক্য আছে যা প্রথম সাক্ষাতেই বললে আপনাকে আত্মকেন্দ্রিক, নিরাপত্তাহীন বা এমনকি মরিয়া মনে হতে পারে। আপনি কি জানেন এই বাক্যগুলি কী কী?
চাকরীর ইন্টারভিউ প্রিপারেশন এ যা বলা উচিত নয়
ইন্টারভিউয়ারের সাথে কথোপকথনের সময় আপনি যে শব্দ এবং বাক্য ব্যবহার করেন তা আপনার কোম্পানিতে যোগদানের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে। কিছু বিশ্লেষণে জানা গেছে যে ইন্টারভিউয়ের সময় মানুষের আচরণ, যেমন আপনি কী বলছেন এবং কীভাবে বলছেন, তা কোনো পদের জন্য আপনার যোগ্যতা সবচেয়ে বেশি থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাওয়া বা না পাওয়ার ওপর প্রভাব ফেলে। নিচে, আমরা এমন ১৩টি অভিব্যক্তি উল্লেখ করব যা যেকোনো মূল্যে এড়িয়ে চলা দরকার।
1. “আমার আগের বস খুব খারাপ ছিলেন”
চাকরীর ইন্টারভিউ প্রিপারেশন নেওয়ার পর চাকরির ইন্টারভিউতে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নগুলির একটা হল—আপনার আগের বা বর্তমান বসের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল। অনেক সময় অভিজ্ঞতা ভাল না হলেও সরাসরি খারাপ বলা ঠিক না। আপনার আগের বস বা চাকরি সম্পর্কে খারাপ কিছু বললে আপনাকে নেতিবাচক, অবিশ্বস্ত বা আনুগত্যহীন মনে হবে। এতে রিক্রুটারের মনে হতে পারে আপনি ভবিষ্যতেও এমন কিছু বলবেন।

এর বদলে এমনভাবে বলুন, যাতে বোঝায় আপনি শেখার সুযোগ পেয়েছেন, চ্যালেঞ্জ সামলেছেন এবং সম্পর্ক ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন।
যেমন: “আমি আমার আগের বসের কাছ থেকে কাজ সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের হয়ত দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা ছিল, কিন্তু আমরা সবসময় একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছি।”
২. “আমার কোনো দুর্বলতা নেই”
চাকরির ইন্টারভিউতে এটা এমন একটা কথা, যা একদমই বলা উচিত না। কারণ সবারই কিছু না কিছু ত্রুটি থাকে, আর সেটা অস্বীকার মানে নিজেকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা।
এই ধরনের উত্তর চাকরীর ইন্টারভিউ প্রিপারেশন নিয়ে যাওয়ার পরেও ইন্টারভিউয়ারের কাছে আপনাকে অপ্রামাণিক আর অবিশ্বস্ত মনে করাতে পারে। মনে হতে পারে আপনি সত্য লুকাতে পারেন বা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও এমন করবেন।
তাই আপনার দুর্বলতা স্বীকার করুন, তবে সততার সাথে আর বুঝিয়ে বলুন আপনি কীভাবে সেটা নিয়ে কাজ করছেন।
যেমন: “আমি জানি, কিছু কিছু সময় প্রজেক্ট শেষ করতে গিয়ে সাহায্য চাইতে একটু দ্বিধা হয় আমার। তবে এখন বুঝি, ঠিক সময়ে হেল্প চাইলে কাজও সহজ হয়, দেরিও কমে যায় আর টিমের লোকজনকে কাছ থেকে বুঝতেও পারি।”
৩. “আমার এই চাকরিটা দরকার”
কথার ভঙ্গিটা এমন যেন কারও কাছে অনুনয় করা হচ্ছে, তাই না? ইন্টারভিউয়ারও ঠিক তেমনটাই মনে করবেন। এতে আপনাকে একরকম মরিয়া মনে হবে। আর সেটা বরং ক্ষতি করবে আপনার।
এমন ভাব দেখালে মনে হতে পারে আপনি শুধু একটা চাকরি চান, এই কোম্পানিতে কাজ করার তেমন ইচ্ছা নাই। নিয়োগকর্তারা এমনও ভাবতে পারেন যে পরে অন্য অফার পেলে আপনি এখানে আর থাকবেন না।
আর একটা সমস্যা হল, আপনি যদি নিজেই বোঝান যে যেকোনো কিছুতেই রাজি, তাহলে আপনাকে কম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেও তারা পিছপা হবেন না।
তাই এর বদলে বলুন আপনি কী কী পারেন আর কীভাবে ওই কাজটা আপনাকে মানায়।

যেমন: “গ্রাহক পরিষেবা ক্ষেত্রে আমার ৭ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। আমি নিজেকে একজন বিশ্লেষণাত্মক, উদ্যোগী আর সহানুভূতিশীল ব্যক্তি ভাবি, যে মন দিয়ে অন্যের কথা শুনতে পারে। এই স্কিলগুলি রোজ কাজেই লাগে যখন মানুষের সঙ্গে ডিল করতে হয়।”
৪. “আমি পারফেকশনিস্ট” বা “আমি ভীষণ নিখুঁতভাবে কাজ করি”
“পারফেকশনিস্ট” শব্দটি এমন একটি শব্দ যা সন্দেহের উদ্রেক করে এবং এটি একটি বহুল ব্যবহৃত মিথ্যার মত শোনায়। যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তিনি ভাবতে পারেন, আপনি আসল দুর্বলতাটা ঢাকার চেষ্টা করছেন।
অনেকেই যখন তাদের দুর্বলতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন এই উত্তর দেন।
এর কাছাকাছি কিন্তু আরেকটু স্মার্ট উত্তর হতে পারে এরকম:
“আমি খুব ডিটেলে কাজ করি, খুঁটিনাটি সব খেয়াল রাখি। মাঝে মাঝে এ কারণে কাজ শেষ করতে একটু বেশি সময় লেগে যায়। তবে আমি চেষ্টা করছি যাতে কোয়ালিটি ঠিক রেখে কাজটা সময়ে শেষ করা যায়, একটা ব্যালান্স আনার চেষ্টা করছি।”
৫. “আমার টিমে আমিই সেরা ছিলাম”
“আপনার সম্পর্কে বলুন”—ইন্টারভিউয়ের সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নগুলির একটা, তাই না? এটা ঠিক যে আপনি আপনার ভাল কাজগুলি বা অন্যদের চেয়ে কোথায় আপনি আলাদা, সেটা বলতে চাইবেন। কিন্তু খেয়াল রাখুন যেন বেশি ভাব দেখাতে গিয়ে বাড়াবাড়ি না হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে দাম্ভিক মনে হতে পারে।
সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি আপনার অভিজ্ঞতার একটা ছোট সামারি তৈরি রাখেন। সেখানে বলুন আপনি কী ধরনের কাজ খুঁজছেন আর ইন্টারভিউয়ের পদের সাথে সেটার মিল কোথায়। একটা সহজ উত্তর, যা প্রায় সব জায়গায় কাজে দেবে, সেটা হতে পারে এইরকম:

“আমি একজন (আপনার পেশা), আমার প্রায় X বছরের কাজের অভিজ্ঞতা আছে। আগে আমি (আপনার সবচেয়ে জরুরি আগের কাজগুলি)-র দায়িত্বে ছিলাম আর সেখান থেকে (আপনার সবচেয়ে ভাল স্কিলগুলি)-র মত দক্ষতা অর্জন করেছি। আমার মনে হয়, এই দক্ষতাগুলি কোম্পানির খুব কাজে আসবে।”
আরও পড়ুনঃ স্বপ্নের বিদেশ যেতে চাইলে এই ভুলগুলো করা যাবে না!
৬. “আমার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই”
হ্যাঁ, সৎ থাকা ভাল, কিন্তু ইন্টারভিউতে সরাসরি এটা বলে দিলে চাকরিদাতাদের কাছে কিন্তু ব্যাপারটা ভাল শোনায় না। এটা একটা রেড ফ্ল্যাগের মত, আর তারা ভাববে পদের জন্য যে জ্ঞান দরকার, তা আপনার নেই।
তাহলে অভিজ্ঞতা না থাকলে ইন্টারভিউতে কী বলবেন?
বুদ্ধি করে আপনার সেই স্কিলগুলির কথা বলুন যা ওই পদের সাথে যায়, আর দেখান যে আপনি শিখতে খুব আগ্রহী। আপনি যদি ছাত্র হন বা প্রথম চাকরি খুঁজছেন, তাহলে ইন্টার্নশিপ বা প্রাসঙ্গিক কোনো ভলান্টিয়ার কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেটা বলুন:
“আমি X প্রোগ্রামটা ভাল পারি আর X ভাষায় আমার X লেভেলের দক্ষতা আছে। আমি X কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপও করেছি। আমি আপনাদের টিমে কাজ করতে আর শিখতে খুব আগ্রহী, আর এখন আমি পদের জন্য জরুরি X স্কিলের ওপর একটা কোর্সও করছি।”
৭. “আমার সিভি থেকে দেখে নিন”
ইন্টারভিউতে আপনার সিভি থেকেই কোনো প্রশ্ন আসতে পারে, কিন্তু তার উত্তরে এটা বলা একদমই ঠিক না। যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, তিনি আসলে আপনার মুখ থেকে শুনতে চান যে ওই অভিজ্ঞতা বা স্কিল নিয়ে আপনার কী বলার আছে বা আপনি কীভাবে কাজ করেন।
আবার, সিভিতে যা লেখা আছে, শুধু সেটাই মুখে বলাটাও কিন্তু যথেষ্ট নয়। আসলে তারা চায় আপনি বিষয়টা নিয়ে আরেকটু গুছিয়ে বলুন। ধরুন, প্রশ্নটা আপনার আগের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে। আপনি এভাবে বলতে পারেন:

“X কোম্পানিতে কাজ করার সময় আমার দায়িত্ব ছিল (আপনি যে কাজগুলি করেছেন তা বলুন)। এই কাজটা করতে গিয়ে আমার (কাজের সাথে জড়িত স্কিলের নাম) স্কিলটা ভালভাবে তৈরি হয়েছে।”
৮. “এই কোম্পানিটি আসলে কী করে?”
ইন্টারভিউতে এই প্রশ্ন করাটা বিরাট বড় রেড ফ্ল্যাগ! এটা শুনেই বোঝা যায় আপনি কোম্পানির ব্যাপারে কিছুই জানেন না, আর ইন্টারভিউয়ার ভাববেন যে এই চাকরিটায় আপনার তেমন আগ্রহই নেই।
ইন্টারভিউতে ভাল করতে হলে, আপনি যে কোম্পানি আর পদের জন্য আবেদন করছেন, সে বিষয়ে একটু রিসার্চ করে যাওয়াটা কিন্তু খুবই জরুরি, আর এটা সবসময় আগেই করে রাখা উচিত। হ্যাঁ, পদের বিবরণে এমন কিছু থাকতে পারে যা আপনার কাছে পরিষ্কার নয়। সেক্ষেত্রে, প্রশ্নটা এভাবে গুছিয়ে করুন:
“আমি জেনেছি যে আপনাদের কোম্পানি X সেক্টরে কাজ করে আর এর প্রায় X বছরের অভিজ্ঞতা আছে। পদের বিবরণে দেখলাম যে এখানে মূলত X এরিয়া নিয়ে কাজ করতে হবে, কিন্তু আপনি কি X কাজটা নিয়ে আরেকটু বুঝিয়ে বলতে পারবেন?”
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রাম ভ্রমণ চূড়ান্ত গাইড: পাহাড়, সমুদ্র আর অমৃত স্বাদের খোঁজে!
৯. “আমার খুব নার্ভাস লাগছে” / “আমি একটু অস্বস্তি বোধ করছি”
চাকরীর ইন্টারভিউ প্রিপারেশন নেওয়ার পরেও মানুষ এই ভুল গুলো করে। যে জীবনে কখনও না কখনও নার্ভাস আমরা সবাই হই। কিন্তু ইন্টারভিউতে এইচআর বা ইন্টারভিউয়ারকে এটা বলাটা বুদ্ধিমানের কাজ না। কারণ তারা আপনাকে আত্মবিশ্বাসী নয় এমন একজন ভাবতে পারে, যিনি চাপ সামলাতে পারেন না।
আজকাল বেশিরভাগ চাকরিতেই চাপ সামলানোর ক্ষমতা আর যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখাটা জরুরি। আপনি নার্ভাস, এটা বললে ঠিক তার উল্টাটাই প্রমাণ হয়। তাই, এই কথাটা মনে মনেই রাখুন আর বরং এই কৌশলটা কাজে লাগান—লম্বা শ্বাস নিন, মনে মনে ১ একে ৫ গুনুন, আর ধীরে ধীরে গুছিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন। এতে মাথাটা গুছিয়ে নিতে আর টেনশন কমাতে সুবিধে হবে।
10. “আমি জানি না” / “আমার কোনো আইডিয়া নেই”
ইন্টারভিউতে এমন কোনো প্যাঁচানো প্রশ্ন আসতেই পারে, যা শুনে আপনি থমকে যান। কিন্তু তার উত্তরে সরাসরি এটা বলা একদম উচিত না। এতে মনে হতে পারে যে আপনি ইন্টারভিউয়ের জন্য ভালভাবে তৈরি হননি আর হঠাৎ আসা সমস্যা সামলাতে আপনি তেমন পটু নন।

তাই সরাসরি “জানি না” না বলে, বরং এমন একটা বাক্য ব্যবহার করুন যাতে উত্তরটা মনে মনে গুছিয়ে নেওয়ার একটু সময় পাওয়া যায়।
যেমন: “আমার কাছে এই প্রশ্নটির গুরুত্ব অনেক। আমার মনে হয় যে…(এরপর আপনার উত্তর শুরু করুন)।”
আরও পড়ুনঃ বিদেশে পড়তে যাওয়া’র 1 বছর আগে থেকে করণীয় কি?
11. “স্যালারি কত পাব?”
হ্যাঁ, চাকরি তো মানুষ টাকা আয়ের জন্যই করে, এটা ঠিক। কিন্তু প্রথম ইন্টারভিউতেই, বিশেষ করে শুরুতেই, এই প্রশ্নটা না করাই ভাল। এতে একটা খারাপ ধারণা তৈরি হয়—ইন্টারভিউয়ার ভাবতে পারেন, আপনার কাছে টাকাই সব, কাজটা বড় নয়।
ছুটি বা বোনাসের ব্যাপারেও একই কথা—এগুলি নিয়ে একেবারে শুরুতে কথা বলা ঠিক না, বরং পরের দিকের আলোচনার বিষয়। অবশ্য, ইন্টারভিউয়ার নিজে থেকে বললে আলাদা কথা। যদি তারা নিজে থেকে না বলেন, তাহলে ইন্টারভিউয়ের একদম শেষে, যখন কাজটা নিয়ে সব পরিষ্কার হয়ে গেছে, তখন সরাসরি বেতন না জিজ্ঞেস করে বরং এভাবে সুবিধাগুলি নিয়ে জানতে চাইতে পারেন:
“কাজটা নিয়ে আমাদের যা কথা হল, সব মিলিয়ে আমার খুব ভাল লেগেছে। এবার আমি যদি কোম্পানির বেতন কাঠামো আর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলি নিয়ে আরেকটু জানতে পারতাম, ভাল হত।”
12. “আমার কোনো প্রশ্ন নেই”
ইন্টারভিউয়ের শেষে ইন্টারভিউয়াররা প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন, “আপনার কিছু জানার আছে?” আপনি হয়ত অবাক হবেন, কিন্তু এক্ষেত্রে ‘না’ বলাটা অনেকসময় ‘হ্যাঁ’ বলার চেয়েও খারাপ হতে পারে। কারণ? এতে মনে হয়, কোম্পানি বা কাজের পরিবেশ নিয়ে আপনার কোনো আগ্রহ বা কৌতূহলই নেই।
কাজটার প্রতি আপনার যে আসল আগ্রহ আছে, তা দেখানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হল পদটা বা কোম্পানির কাজকর্ম নিয়ে একটি-দুটি প্রশ্ন করা। যদি তখন চট করে মাথায় কিছু না আসে, তাহলে এই ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন:


“এখানে সাধারণত কাজের দিনটা কেমন কাটে?”, “কোম্পানি কি কর্মীদের স্কিল বাড়ানোর জন্য কোনো সুযোগ দেয়?”, “এই পদের জন্য কোন সফটওয়্যারগুলি বেশি ব্যবহার করা হয়?”
আরও পড়ুনঃ প্রেমে সফল হওয়ার 10 টি সাইকোলজিক্যাল টিপস
13. “আমার ইন্টারভিউ কেমন হল?”
চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলা একদমই উচিত না, এটা তার একটা ক্লাসিক উদাহরণ। দেখুন, যেমন কিছু প্রশ্ন ইন্টারভিউয়ারের আপনাকে করা উচিত না, তেমনি কিছু প্রশ্ন ভদ্রতার খাতিরে আপনারও করা উচিত না।
এই প্রশ্নটা ইন্টারভিউয়ারকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। কারণ আপনি যেমনটা আশা করছেন, তারা হয়ত তক্ষুনি কোনো মতামত দিতে পারবেন না, আর অনেকে এটাকে অভদ্রতাও মনে করেন। তাই এই প্রশ্ন না করে, বরং ইন্টারভিউ শেষ করার সময় এভাবে বলতে পারেন:
“আজ আপনার সাথে কথা বলে আমার খুব ভাল লেগেছে। আমার সিভি বা অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি পরে আপনার কিছু জানার প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন। যেকোনো বিষয় পরিষ্কার করতে পারলে আমারও ভাল লাগবে।”
বোনাস টিপস: এই ভুলগুলিও এড়িয়ে চলুন
আগে যে বাক্যগুলির কথা বললাম, সেগুলি ছাড়াও আরও কিছু আচরণ বা কথা বলার ধরন আছে যা ইন্টারভিউতে এড়িয়ে চলা উচিত, যদি আপনি ভাল ইম্প্রেশন তৈরি করতে চান। যেমন, কথা বলার সময় বেশি বেশি “উমম”, “ইয়ে”, “মানে”—এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করবেন না। এগুলি শুনলে মনে হয় আপনি নার্ভাস বা আপনার আত্মবিশ্বাস কম। তার বদলে, একটু ধীরে (কিন্তু সাবলীলভাবে) কথা বলুন, এতে আপনাকে বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হবে।
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি শেখার ৫টি অ্যাপ যা আপনাকে ফ্লুয়েন্ট করে তুলবে!
আর হ্যাঁ, ইন্টারভিউয়ারের সাথে বেশি ফ্রি হয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত ইনফরমাল আচরণ করাটাও কিন্তু ঠিক না, কারণ অনেক সময় এটা অসম্মানজনক মনে হতে পারে। অবশ্য যদি ইন্টারভিউয়ার নিজেই খুব সহজ বা ইনফরমাল ভাবে কথা শুরু করেন, তাহলে অন্য ব্যাপার।
আরও পড়ুনঃ কক্সবাজারে সাশ্রয়ী হোটেল 2025 এর 10 টি লিষ্ট
অনলাইন বিজনেসের সাপোর্ট পেতেঃ Fixcave Agency
Leave a Reply